January 17, 2021, 4:29 pm
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল) এর কোয়ার্টার থেকে বোরহান উদ্দিন বাহার (৩৬) নামের এক স্টাফের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দেলোয়ার হোসেন (৪২) নামক ব্যক্তি। জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পহেলা জানুয়ারি পুলিশ আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল) এর কোয়ার্টার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন (৪২) নামের একজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। দেলোয়ার হোসেন রাজধানীর হাজারীবাগের বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন হকার। সে ঢাকা নিউ মার্কেটের মেয়েদের কামিজ (ওয়ানপিছ) এর হকারি করতেন। মৃত বোরহান উদ্দিন বাহারের সাথে তার ১৫ বছর পূর্বে বন্ধুত্ব হয়। প্রায় সময় বোরহান উদ্দিন বাহারের সাথে দেলোয়ার হোসেন নামক আসামির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হত। দেলোয়ার ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ রাতে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারে বাহারের কাছে বেড়াতে আসে। ঐ দিন রাতে বোরহান উদ্দিন বাহার ও দেলোয়ার মিলে মুরগীর মাংস ও ভাত রান্না করে খাওয়া দাওয়া করে। খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন ২৯ ডিসেম্বর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বোরহান উদ্দিন বাহার ব্যাংকের চেকের কাজ করছিলো। কাজ করতে করতে পরদিন ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দেলোয়ার বোরহানকে কাজ বন্ধ করতে বললে সে খারাপ ব্যবহার করে এবং দেলোয়ার উত্তেজিত হয়ে বোরহান উদ্দিন বাহারকে ধাক্কা দিলে সে খাটের সাথে লেগে আঘাত পাওয়ার পর পুনরায় আঘাতের জন্য আসলে আসামি দেলোয়ার তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সে ঘরের দেয়ালের সাথে লেগে মাথার ডান পাশের পিছনে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে কেটে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। বোরহান উদ্দিন বাহার খাটের উপর উপুড় হয়ে পড়ে যায়। দেলোয়ার তাকে ধরে খাটের দক্ষিণ পাশে ফ্লোরে শুইয়ে দেয়।
মৃত বোরহান উদ্দিন বাহারের মাথার নীচে বালিশ দিয়ে তার শরীরে মালিশ করতে থাকে। এতে বাহারের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আসামি দেলোয়ার বাহির কেউ আছে কিনা দেখতে যায়। দেলোয়ার ফিরে এসে তার শরীরে হাত দিয়ে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে জেনে কম্বল ও কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে বাহির হতে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এর ২দিন পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত বোরহান উদ্দিন বাহারের ছেলে আব্দুল্লাহ ফারুক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply