January 17, 2021, 3:31 pm
শত প্রতিকূলতার মাঝেও নীতিতে অটল শিউলি আজাদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এই নারী প্রাণপ্রিয় স্বামী সরাইলের আওয়ামীলীগ নেতা একেএম ইকবাল আজাদের খুনের পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেও জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে দলকে সংগঠিত করতে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অল্প সময়েই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদে সরাইল আশুগঞ্জ থেকে ১২ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (জন্ম ২ অক্টোবর ১৯৭২) যিনি শিউলি আজাদ নামে পরিচিত।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক। তিনি সরাইল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা মরহুম একে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী। বিগত ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় কোন্দলে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ইকবাল আজাদ। এতে এক ধরনের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে স্বামীর পদাঙ্ক অনুস্মরণে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ফলে তার হাত ধরে আবারো উজ্জীবিত হয়ে উঠে দলীয় নেতা কর্মীরা। খুব অল্প সময়েই দলকে পুনরায় সুসংগঠিত করতে সক্ষম হন শিউলী আজাদ।
এমপির দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন তিনি।
এলাকার উন্নয়নে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চল। নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় ৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে টর্ণেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শন ও পরিবারগুলোর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা ২৯ টি পরিবার এবং একটি মসজিদের পুনর্বাসনে ৬৩ বাণ্ডিল ঢেউটিন ও প্রায় দুই লাখ টাকার নগদ অনুদান পৌছে দেন সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ। সরাইল উপজেলাধীন পাকশিমুল ইউনিয়ন জয়ধরকান্দি ও তেলিকান্দি ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার নব-নির্মিত বেড়িবাঁধ চালু করেন। এছাড়াও করোনার সময় এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে স্বশরীরে মাঠে থেকেছেন। সাংগঠনিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সব সময় জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন যৌক্তিকভাবে।
কিন্তু তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, জনপ্রিয়তা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাবের ফলে এলাকার দুর্নীতিবাজদের কাছে শত্রু হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন ভাবে তারা ষড়যন্ত্র করছেন। যে কোন মুল্যে শহীদ ইকবাল আজাদের মত শিউলি আজাদকেও সরিয়ে দিতে চান রাজনীতির মাঠ থেকে।
এ বিষয়ে শিউলী আজাদ এমপি বলেন, শহীদ একেএম ইকবাল আজাদের খুনিরা এখনো সক্রিয়। তারা বিভিন্নভাবে এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নের শপথ নেয়ার পর থেকেই আমি আমার জীবন জনগণের সেবায় উৎসর্গ করেছি। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমার প্রতি আস্থা রয়েছে। তাই কোন ষড়যন্ত্রকে আমি ভয় করি না। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে যারা রাজনীতি করে শত চেষ্টা করেও তাদের নাম মুছে ফেলা যায় না। সেই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতি শুধু পাওয়ার হিসাব কষার জন্য নয়, কতটুকু দেশকে দিতে পারলাম, কতটুকু মানুষের জন্য করতে পারলাম, কতটুকু মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলাম সেখানেই সবচেয়ে বড় পাওয়া।
Leave a Reply